কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : সাংবাদিক পরিচয় দেয়ায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি অখিল পোদ্দারকে পুলিশের এক এএসআই হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রাত সাড়ে আটটার দিকে মটরসাইকেল যোগে একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি অখিল পোদ্দার ও খোকসা উপজেলা মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মনিরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে খোকসা নিজ বাড়ীতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কুমারখালীর বাটিকামারা পুলিশের একটি দল তাদের পথরোধ করে। এ সময় একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি অখিল পোদ্দার তাদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেই পুলিশের কত্যর্বরত এএসআই আবুল কালাম আজাদ ‘সাংবাদিক সম্পর্কে খিস্তি খেউর’ আউড়িয়ে ধেয়ে এসে মটরসাইকেল থেকে তাদেরকে ফেলে দেয়। এ সময় সাংবাদিক অখিল পোদ্দার কেন তাদের সাথে এমন আচরণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে এএসআই আবুল কালাম আজাদ, শালা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে যাবি, এখনতো তোদেরকে ধরার রাস্তা হয়েছে বলে সাংবাদিক অখিল পোদ্দারের হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদ্বয়কে মাটিতে ফেলে দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট শুরু করে। এ সময় সাংবাদিক অখিল পোদ্দারের মোবাইল ফোন ও সাংবাদিক মনিরুলের মোবাইল ফোনও ভেঙ্গে ফেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমারখালী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ খবরে জেলার সকল সাংবাদিকরা কুমারখালী থানায় উপস্থিত হয়।

এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) সোহেল রেজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি জেনেছি এবং এ বিষয়ে কোন ছাড় হবে না। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ঘটনার পর থেকে কুমারখালী থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রাতেই কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।

(কেকে/এইচআর/আগস্ট ২৭, ২০১৪)