রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : জমির সীমানায় ঘাস কাটতে বাধা দেওয়া এক নারীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মীমাংসার নামে শালিসী বৈঠক ডেকে একই পরিববারের তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ হামলা করে উল্টে থানায় অভিযোগ দিয়ে নির্যাতিতদের হয়রানি করার চেষ্টা চলছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিরাশুনি গ্রামের আব্দুল আজিজ মোড়লের মেয়ে রেক্সোনা খাতুন জানান, তাদের গ্রামের সবেদ শেখের স্ত্রী আলেয়া খাতুন গত সোমবার সকাল ১১ টার দিকে চাচাত ভাইদের সঙ্গে তাদের যৌথ সীমানায় ঘাস কাটছিলেন।

সীমানা বা আইলের অর্ধেকাংশে ঘাস কাটার কথা বলছে চাচাত ভাই মতিয়ার রহমান মোড়লের ইন্ধনে আব্দুল হামিদ মোড়ল, তার স্ত্রী নূরজাহান, চাচাত ভাই ফরহাদের স্ত্রী তাছলিমা ও চাচাত বোন রেহেনা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে চাচাত ভাই পরদিন সকালে মীমাংসায় বসার নাম করে থানা থেকে ফিরিয়ে আনে। পরদিন সকালের পরিবর্তে রাত ৯টার দিকে মতিয়ার না এসে গ্রাম পুলিশ জিয়ার সরদার ও হাকিম মোড়লের ছেলে সাত্তার মোড়লকে দিয়ে চাচা ইনছার মোড়লের বাড়িতে শালিস বসায়।

শালিসে আব্দুল হামিদ, আলিম, ফরহাদ, আলেয়া, নূরজাহান ও তাসলিমা উপস্থিত ছিল। তার পক্ষে দুলা ভাই মফিজুল উপস্থিত ছিল। শালিসের একপর্যায়ে লাইট নিভিয়ে দিয়ে দুলা ভাইকে মারপিট শুরু করলে ভাই আমিনুর, তিনি ও বোন রহিমা ছুঁটে গেলে তাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। তার ও ভাই আমিনুরের মাথা বাঁশের লাঠি দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা তাকে ও আমিনুরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলে ভর্তি করে।

রেক্সোনা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাই আমিনুরকে পিটিয়ে জখম করে চাচাত ভাই মতিয়ার। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা হয়নি। মঙ্গলবারের হামলার পর হামলাকারিদের বাঁচাতে মতিয়ার তড়িঘড়ি করে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে র‌্যাব ও পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর চেষ্টা করে।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।

(আরকে/এসপি/মার্চ ১৮, ২০২১)