শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাথালিয়া পাড়া গ্রামের নুরু ব্যাপারীর একটি অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস নাড়াচাড়া করায় একই  গ্রামের পাক্কু সেখের মেয়ে বিথি (সাথী) (১০), মজনু ব্যাপারীর ছেলে সাকিল (১৫), শরিফ আলীর ছেলে হাবিব (১৭), আফজাল ব্যাপারীর ছেলে শামছুল হক (৩৭) ও নুরুল আমিনের ছেলে মানিক (৩০) এ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়।

এ ছাড়া অসুস্থ ছাগলের জবাইকৃত মাংস নাড়াচাড়া করে একই গ্রামের বাবলু, রনি ও রুপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ী দক্ষিন পাড়া গ্রামের রুহুল আমিন, মজিবর, শাহ্ আলম,আয়মালা খাতুনসহ ১১ জন এ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ১৫ আগষ্ট পাথালিয়া পাড়া গ্রামে নুরু ব্যাপারীর একটি অসুস্থ্য ছাগল জবাই করে তা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে রান্না করে খাওয়ার ২/৩ দিন পর যারা এ মাংস নাড়াচাড়া করেছিল তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দিলে এরা গত ২০ আগষ্ট শাহজাদপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেয়।

শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাক্তার বেলায়েত হোসেন জানান, এ রোগীগুলো সবাই এ্যানথ্যাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। পরে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শাহজাদপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের কৈজুরি ইউনিয়নের হেলথ ইন্সপেক্টর আনছার আলী জানান গত ১৫ আগষ্ট একই গ্রামের বাবুল ও রনি নামে দুজন তাদের হাতে এবং পায়ে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে এলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, একটি অসুস্থ ছাগল জবাইয়ের পর মাংস নাড়াচাড়া করায় তাদের শরীরে ক্ষত দেখা দিলে চিকিৎসা নিতে তারা হাসপাতালে আসেন। এদেরকে একই চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল হাই এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের খবর তাদের জানা নেই। সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঢাকা মহাখালীর আইইবিসিআর এর একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

(এআরপি/এটিআর/আগস্ট ২৭, ২০১৪)