আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা : কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী নিখোঁজ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি খুঁজতে আরো বড় এলাকাজুড়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ।

 

মঙ্গলবার বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানায়, বিমানটি নিখোঁজ হবার পর তিনদিন পার হয়ে গেলেও অনুসন্ধানকারী জাহাজ এবং বিমান থেকে ধ্বংসাবশেষের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এদিকে আরো জোর অনুসন্ধান চালানোর জন্য মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন সরকার।

তিনদিন পরও কোন খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের মাঝেও হতাশা বাড়ছে। স্বজনদের এরই মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে সবচেয়ে খারাপ সংবাদের জন্য প্রস্তুতি নিতে।

চীন সরকার মালয়েশিয়ার প্রতি আরো জোর অনুসন্ধান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। নিখোঁজ বিমানটির অধিকাংশ যাত্রী ছিল চীনা নাগরিক।

মালয়েশিয়া জানিয়েছে তারা আরো বড় এলাকজুড়ে এখন অনুসন্ধান চালাবে।

বিমানটির ২৩৯ জন যাত্রীর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানতে নয়টি দেশের অনুসন্ধানকারী দল এখন মালাক্কা প্রণালী থেকে শুরু করে দক্ষিণ চীন সমুদ্র পর্যন্ত সাগরের একটি বড় অংশে তাদের অনুসন্ধান চালাবে। এ দেশগুলোর ৪০টি জাহাজ এবং ৩৪টি বিমান এখন মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনাম সংলগ্ন সমুদ্রে বিমানটির সন্ধান করছে।

বেইজিং থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, নিখোঁজদের স্বজনদের অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন বলে মনে হচ্ছে। মালয়েশিয়া এই স্বজনদের কুয়ালালামপুরে নিয়ে যাবার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে তারা আরো কাছ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে।

তবে অপেক্ষারত একজন চীনা নাগরিক গুও কিসান বলছিলেন, তিনি মালয়েশিয়া যাবার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। নিখোঁজ বিমানটিতে তার জামাতার ফেরার কথা ছিল।

মালয়েশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুরি করা পাসপোর্ট নিয়ে যে দুজন ব্যক্তি ঐ বিমানে উঠেছিলেন, তাদের একজনকে শনাক্ত করা গেছে। তবে তার পরিচয় তারা প্রকাশ করেননি।

(ওএস/এইচআর/মার্চ ১১, ২০১৪)