স্টাফ রিপোর্টার : তীব্র তাপদাহে কৃষি ও জনজীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ঠিক একইভাবে বোরো ক্ষেতে অতিরিক্ত সেচের প্রয়োজন হচ্ছে। এতে বাড়ছে কৃষকের উৎপাদন খরচ। পাশাপাশি ভালো ফলন পাওয়া নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে সারা দেশে ৬৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। মার্চে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে গতকালই এ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরই রয়েছে সীতাকুণ্ডে ৩৯ দশমিক ৮, চাঁদপুরে ৩৯ দশমিক ৪ ও ফেনীতে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কৃষকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে প্রতি বিঘা জমিতে এখন প্রতিদিন ১ ঘণ্টার বেশি সেচ দিতে হচ্ছে। মার্চের শেষ সময় থেকেই সেচের পরিমাণ বাড়ছে। অথচ গত বছর এ সময়ে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিলেই চলত। ঘন ঘন সেচের প্রয়োজন হওয়ায় অনেক কৃষক বাড়তি খরচ বহন করতে পারছেন না। এতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে; যা বোরোর কাঙ্ক্ষিত ফলনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই থাকবে। এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াবে। এর পর আরেকটি তাপপ্রবাহ আসবে। তখন তাপমাত্রা আরো বেশি হতে পারে। কোনো কোনো বছর এ রকম হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) থেকে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৪৭ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে ৩১ লাখ ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১৫ লাখ ৫২ হাজার হেক্টরে উফশী ও ৮০ হাজার হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়নি।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২১, ২০১৪)