ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ।

মাদক, সন্ত্রাস, অন্যায় ও অপরাধ নামক সামাজিক ব্যধি দুর করতে এবং হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই লাঠিখেলার পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেন পাবনা ৪ আসনের জাতীয় সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

শনিবার (২৭ মার্চ) দিনব্যাপী ঈশ্বরদী উপজেলার বড়ইচারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুম ঈমান আলী ফকির, মরহুম রশিদুল হক ফকির, মরহুম হামিদুল হক ফকির, মরহুম আকবর আলী বিশ্বাস, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস ও মরহুম রজব আলী সরদার স্মৃতি লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়। খেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস।

শনিবার সকাল থেকে কেউ হেঁটে আবার কেউবা ভ্যান, সাইকেলবা মোটরসাইকেলে চেপে কালের ক্রমে হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা দেখতে বড়ইচারা গ্রামে ভিড় করে নানা বয়সের মানুষ। ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার শব্দে চারপাশ উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাদ্যের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। চলে লাঠির কসরত। প্রতিপরে লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে উৎসাহ যোগায় খেলোয়াড়দের।

খেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসাহক আলী মলিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়াীলীগের সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টু, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু মন্ডল, শফিউল আলম বিশ্বাস, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা, পাকশীর চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস, সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নায়েক এম এ কাদের, কৃষকলীগের আহবায়ক ফজলুল হক মালিথা, ঈশ্বরদী প্রেসকাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সাঁড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ, সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজ উদ্দীন বিশ্বাস প্রমূখ।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত লাঠিখেলায় উপজেলার সলিমপুর, সাহাপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনী অংশগ্রহণ করেন।

(এসকেকে/এসপি/মার্চ ২৭, ২০২১)