নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার বুধবার আরও চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এমামলার মোট ৬৬ সাক্ষীর মধ্যে এপর্যন্ত ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।

বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রহিদুল ইসলামের আদালতে স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। সার্জেন্ট আব্দুল হালিম, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল মজিদ,কোরবান আলী ও সাহানুর রহমানের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীরা ঘটনার বর্ণনা দেন। । স্বাক্ষী গ্রহন শেষে বিচারক আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাকী স্বাক্ষীর জন দিন ধার্য করেন। আগামি তারিখে ডাক্তার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষিগ্রহণ শেষে রায়ের দিন ধার্য্য করা হবে। আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হাই জানান, মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। আগামি তারিখে ডাক্তার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষিগ্রহণ শেষে রায়ের দিন ধার্য্য করা হবে।

এদিকে সাক্ষ্য গ্রহণের আগে মামলার ৭ আসামী জেএমবি সদস্য আব্দুর রশিদ, সিহাব উদ্দিন সিহাব, শহিদুল্লাহ ওরফে ফারুক, দেলেওয়ার হোসেন মিঠু, হাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন এবং শফিউল ওরফে তারেককে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। আসামীদের মধ্যে আব্দুল মতিনকে কাশিমপুর কারাগার , শফিউল্লাহ ওরফে তারেককে রাজশাহীর কেন্দ্রিয় কারাগার এবং অপর পাঁচজন আব্দুর রশিদ, শিহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, দেলয়ার হোসেন ও শহিদুল ইসলামকে নাটোর জেলা করাগার থেকে আদালতে আনা হয়। মামলার অভিযোগপত্র ভূক্ত ১০ আসামীর মধ্যে শায়েখ আব্দুর রহমান, আব্দুল আওয়াল ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের অন্য একটি মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। আদালতে উপস্থিত আসামীরাও অন্যান্য জেলার মামলায় মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট নাটোরে জজ আদালত, ডিসি অফিস, ট্রেজারি, বাসস্ট্যান্ড, নাটোর প্রেস ক্লাবের সামনে, পেট্রোলপাম্প সহ ৮টি স্থানে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটে।

(এমআর/আগস্ট ২৭, ২০১৪)