আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে পৃথক দুই ধারায় ছয় বছরের কারাদন্ড ও তিন কোটি টাকা অর্থদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালতের বিচারক।

একইসাথে অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে বরিশাল নগরীর আলেকান্দা এলাকায় নির্মিত পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবন, ১২ শতক জমি ও নাবালক পুত্রের নামে ঢাকার বড় মগবাজারে থাকা ১৬২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ মহসিনুল হক বুধবার শেষকার্যদিবসে এ রায় ঘোষণা করেছেন।

আদালতের রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থদন্ডের টাকা আসামির স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে। এজন্য বাড়ি বাজেয়াপ্ত করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বরিশাল ও ঢাকা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। পাশাপাশি নুরুল আমিন সিকদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে অর্থদন্ডের টাকা আদায় করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তার এক কপি আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদার লাচিন ভবনের মালিক ও উজিরপুর বাজার এলাকার মৃত ইয়াকুব আলী সিকদারের পুত্র। তিনি ঝালকাঠি জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় নুরুল আমিন সিকদার আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল আলম জানান, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারের বিরুদ্ধে বরিশাল দুদকের সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমতউল্লাহ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আনা অভিযোগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে অভিযুক্ত করে ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমতউল্লাহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। বিচারক ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে দুই ধারায় তিন বছর করে মোট ছয় বছরের কারাদন্ড এবং তিন কোটি টাকা অর্থদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় দন্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২১)