আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : “মহামারীত্তোর বিশ্ব ঝুঁকি প্রশমন, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ হবে প্রসারণ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে করোনা মহামারিকালে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির কর্মক্ষেত্র ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে অনাড়ম্বরভাবে শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. বখতিয়ার আল মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মামুন মোল্লা, ডা. সৈকত জয়ধর, ডা. সমীরন হালদার, ডা. ফয়সাল ফাহাদ চৌধুরী, ডা. জাহেদ হোসেন, ডা. আলামিন হোসাইন, ডা. হাফিজুর রহমান দিপু, ডা. রাজু বিশ্বাস, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. সাবিনা আফরোজ, ডা. নূরে জান্নাত বাঁধন, ডা. অনামিকা বিশ্বাস, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুকলাল সিকদার, প্রধান অফিস সহকারী মিজানুর রহমান সিকদার, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ইপিআই মিজানুর রহমান, পরিসংখ্যানবিদ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, অটিজম স্পেক্ট্রাম স্নায়ু বিকাশজনিত বৈচিত্র যার প্রকৃত কারণ আজও চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে অজানা। অটিজম স্পেক্ট্রামের ফলে একটি শিশুর জন্মের ১৮-২৪ মাস পর থেকে নানা ধরনের বুদ্ধি ভিত্তিক বিকাশগত সমস্যা দেখা যায়। কখনও কখনও অটিজম সম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে একাধিক স্নায়বিক বিকাশগত সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় কুসংস্কারের কারণে অধিকাংশ অটিজম স্পেক্ট্রাম বৈকল্য সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি সমাজের মূল স্রোতের বাইরে রয়ে গেছে। অটিজম স্পেক্ট্রাম সম্পন্ন ব্যক্তির যথাযথ যত্ন, শিক্ষা প্রদান ও চিকিৎসা করলে তারাও একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২১)