ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দুই বছর সাড়ে সাত মাস আগে খালাতো ভাইয়ের দুর্ঘটনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়া নাছিমা আক্তার (৪১) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূর আজো খোঁজ মিলেনি। নাছিমা আক্তার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরএলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামের জিয়াউল হক শাহের স্ত্রী এবং উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পানিকাটা জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিন মন্ডলের মেয়ে।

গত ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডাইরী সূত্রে জানা যায়, ওই বছরের ১১ আগস্ট সকালে স্বামী জিয়াউল হক শাহকে তার (নাছিমার) খালাতো ভাইয়ের দুর্ঘটনার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে নাছিমা আক্তার। জিয়াউল হক তাকে বাঁধা দিয়ে স্কুলে চলে যান। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন নাছিমা বাড়ীতে নেই। তখন তিনি ধারণা করেন নাছিমা তার খালার বাসায় পার্বতীপুরে চলে গেছে।

পরে জানা যায় যে, নাছিমা ওইদিন দুপুরের খাবার খেয়ে ছোট ভাই বদিরুজ্জামানের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেন। কিন্তু বদিরুজ্জামানের শ্বশুরবাড়ীতে নাছিমা না পৌঁছালে বদিরুজ্জামান ও জিয়াউল হক শাহ আত্মীয়-স্বজনের বাসা-বাড়ীতে খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। পরে জানতে পারেন নাছিমা কোন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে যান’নি।

এ বিষয়ে নাছিমা আক্তারের স্বামী জিয়াউল হক শাহের মুঠোফোনে (০১৭২৮ ৩৭০৩৭৯) একাধিকবার ফোন করা হলে তার মুঠোফোনের বন্ধ পাওয়া যায়।

নাছিমা আক্তারের বড়ভাই কামরুজ্জামান বলেন, ‘গত ২০০০ সালে কাঁটাবাড়ী গ্রামের মোজাহার আলী শাহের ছেলে জিয়াউল হক শাহের সাথে বিয়ে হয় নাছিমা আক্তারের। বিয়ের পূর্বে মানসিকভাবে ভালো থাকলেও বিয়ের ১ বছর পর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা করেও কোন সুফল মিলেনি। তারপর থেকেই নাছিমা প্রায় সময় বাড়ী থেকে বেড়িয়ে এদিকওদিকে চলে যেতো। গত ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট পার্বতীপুরে খালার বাড়ীতে যাওয়া কথা বলে বেড়িয়ে পড়ে সে। ওইদিন দুপুরে সেখানে খাওয়া দাওয়া করে বেড়িয়ে পড়লে আর তার খোঁজ মিলেনি। তার নিখোঁজের বিষয়ে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কোন হুদিশ মিলেনি।

যদি কেউ নাছিমার খোঁজ পেয়ে থাকেন তবে তার বড় ভাই কামরুজ্জামানের ০১৭১৬ ৬১৪২৪৫ নম্বরের মুঠোফোনে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নাছিমার বর্ণনা: নাছিমা আক্তারের বয়স আনুমানিক ৪১ বছর, উচ্চতা ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি, গায়ের রং ফর্সা, মুখম-ল গোলাকার, মাথার চুল কালো/সাদা।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে জিডি রেকর্ড হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।

(এসিজি/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২১)