হাতিয়ায় মুক্তিপণ দিয়ে ১৫ জেলে উদ্ধার
নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার এলাকায় অপহৃত ১৫ জেলেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার করেছে পরিবারের লোকজন।
বুধবার বিকেলে মুক্তিপণ দিয়ে তাদের নিয়ে ঘাটের দিকে রওয়ানা হয় স্বজনরা।
এর আগে অপহরণকালে দস্যুদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে জহির উদ্দিন (৪৫) ও সেনাফ (২৭) নামে দুই জেলেকে গলা কেটে হত্যা করে দস্যুরা।
নিহত দুই জেলে জহির ও সেনাফ উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
গত সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বাঁশখালী এলাকার মান্নান গ্রুপের দস্যুরা প্রায় দুইশ মণ ইলিশসহ ২টি ট্রলার লুট করার সময় ৭ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। ওই ঘটনার পর থেকে মাঝি-মাল্লাসহ ট্রলারে থাকা ২১ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দস্যুরা।
সোমবার রাতেই হাতিয়া থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ ৭ জেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
উদ্ধারকৃত জেলেদের বরাত দিয়ে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা জানায়, সোমবার দুপুরে উপজেলা দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে মাছ নিয়ে কুতুবদিয়া এলাকা থেকে ছেড়ে আসা ২টি মাছধরা ট্রলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের জাগলার ঘাটের দিকে ফিরছিল।
এ সময় চট্টগ্রাম বাঁশখালী এলাকার মান্নান গ্রুপের দস্যুরা জেলেদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ৭ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর দস্যুরা জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় দুইশ মণ ইলিশসহ ২১ জন মাঝি-মাল্লা ও জেলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণকালে দস্যুদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে জেলেদের মধ্যে জহির সারেং ও সেনাফসহ ২ জনকে হত্যা করে সাগরে ফেলে দেয়। জেলেদের মধ্যে থেকে কয়েকজন ট্রলার থেকে লাফ দিয়ে তীরে উঠে আসে।
পরে মঙ্গলবার ট্রলারের মালিকের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যু সর্দার মান্নান বাহিনীর প্রধান মান্নান। বুধবার দুপুরে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া কয়েকজন জেলে অপহৃত ১৫ জেলেসহ এমভি মায়ের দোয়া-২ ট্রলারটি সগরের মধ্যে ভাসতে দেখে ঘাটে খবর দেয়। ট্রলারটি বিকল হওয়ায় ঘাটে ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে স্থানীয়রা জানায়।
হাতিয়া থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। ঘাটে আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
(ওএস/এইচআর/আগস্ট ২৮, ২০১৪)