স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন সরকার। এই লকডাউনে দেশের নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে।

এই পরিস্থিতিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুইজন ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই সময়ে শুধু প্রডাকশন (সদ্য গ্রেফতারকৃত) আসামিদের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিষয় পৃথক বিজ্ঞপ্তিত জারি করেছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর আগে রবিবার (৪ এপ্রিল) রাতে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের জেলা জজ ও মহানগর জজ (চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতের কার্যক্রম সীমিত করার পাশাপাশি সব ধরনের অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

উক্ত সময়ে অধস্তন আদালতের বিচারক ও আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে আদালতগুলোতে টানা সাধারণ ছুটি চলার একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

সেই অধ্যাদেশ জারির পর গত বছরের ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এরপর ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিততে আদালতের কার্যক্রম চলে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৫, ২০২১)