আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়া এবং এর প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা।

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপপুঞ্জ থেকে পূর্ব তিমুর পর্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবারও উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সেরোজার প্রভাবে আকস্মিক ঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে পূর্ব তিমুরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুদ্র এই দ্বীপটির অবস্থান ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝখানে। বন্যায় দেশটির রাজধানী দিলি ডুবে গেছে। অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে দিলিতে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এই বিপর্যয়ে হতাহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। খারাপ আবহাওয়ার সময় কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ায় এখনও ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ধারণা এখনও অনেকেই মাটিচাপা পড়ে আছেন।

তবে কতজন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ তা পরিষ্কার নয়। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এদিকে, এই দুর্যোগের মধ্যে বাড়িতে অবস্থান করছেন এমন অনেকেরই খাবার, ওষুধ এবং কম্বল প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় হাসপাতাল, ব্রিজ এবং হাজার হাজার বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থা সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বলেন, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকবে।

বর্ষার মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস প্রায়ই দেখা যায়। এর আগে গত জানুয়ারিতে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সুমেদাং শহরে আকস্মিক বন্যায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে বোর্নো প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০২১)