নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বুধবার টিফিনের কেক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও রাতেই তিন ছাত্রীকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাথার যন্ত্রনা, পেটের পিড়া ,বমি ও পেট ফোলা নিয়ে তাদের আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভর্তি হওয়া তিন ছাত্রী হলো ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুন ফেরদৌস নিঝুম, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী লিতু রানী দাস, ও ১০ম শ্রেণীর অন্নিকা তাবাসুম রিমা। এছাড়া বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী বিউটি বিনতে বেলাল। সকলেই সুস্থ রয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। তবে জান্নাতুনের মা জানান,দুপুরে ডাক্তারের কথায় মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু রাতে পেট ফুরতে থাকে এবং যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকলে রাতে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মেয়ে এখনও সুস্থ কিনা তিনি জানেননা।

নাটোর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ এমদাদুল হক দুলাল বলেন,অধিকাংশ ছাত্রীই খালি পেটে ওই টিফিনের কেক খাওয়ার কারনে এ্যাসিডিটি হয়। এ্যাসিডের কারনে পেট ব্যাথা হতে পারে। তারা সকলেই সুস্থ হওয়ায় তাদের ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিায়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবারের ওই উদ্ভুত ঘটনার পর অভিভাবক সহ ছাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার স্কুলমুখী হয়নি।

স্কুলের টিফিন খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া তিন ছাত্রী গতরাতে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়। অপরদিকে যে বেকারীর কেক খেয়ে বুধবার নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেনু বেকারী সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে জেলা প্রশাসন থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নাটোর সদর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বেনবেকারীকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সরকার বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে ছাত্রী উপস্থিতির হার খুবই কম ছিল বলে জানান। বুধবারের উদ্ভুত পরিস্থিতির কারনে অনেকেই আতংকিত হয়ে পড়েছে। তবে আতংকিত না হওয়ার জন্য তাদের অভিভাবকদের বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত স্কুলে টিফিন সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(এমআর/এএস/আগস্ট ২৮, ২০১৪)