শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নতুন করে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত এলাকাসহ উপজেলার সর্বত্র জরুরী ভিত্তিতে গবাদী পশুকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৯১টি গবাদী পশু রয়েছে। এর মধ্যে বাঘাবাড়ী মিল্ক ভিটার আওতাধীন প্রায় ১ লাখ গরু রয়েছে। মিল্ক ভিটা আওতাধীন সমিতিগুলোতে ৪৫ হাজার উন্নত জাতের গাভী রয়েছে।

সূত্র আরো জানায় নতুন করে অ্যানথ্র্াক্স দেখা দেওয়ায় দুটি টিম জরুরী ভিত্তিতে অ্যানথ্র্াক্স আক্রান্ত এলাকার ২ কিলোমিটার জুড়ে প্রতিটি গবাদী পশুকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা প্রদান বাবদ প্রতিটি গবাদী পশুর জন্য ২ থেকে ৫ টাকা করে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে বাঘাবাড়ী মিল্ক ভিটার সোসাইটি ম্যানেজার ডা. সাইদুর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শাহজাদপুরে ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকায় মিল্ক ভিটার প্রায় ৪’শ সমিতি রয়েছে। সমিতি ভুক্ত গো-খামারীদেরকে বিনা মুল্যে তাদের গবাদী পশুকে অ্যানথ্রাক্সসহ সকল রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান প্রতি ৬ মাস পরপর সকল খামারে নিয়মিত টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। মিল্ক ভিটার সমিতি ভুক্ত কোন খামারে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল হাই জানান, উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পাথালিয়াপাড়া নুরুল ব্যাপারীর একটি ছাগল ও রুপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ী দক্ষিন পাড়া গ্রামের শাহ্ আলমের একটি বকনা গরু সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ দুটি পশু জবাই করে তার মাংস এলাকার লোকজন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করায় এর সংস্পর্শে এসে নারী পুরুষ ও শিশুসহ ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সেরক্ষত দেখা দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এরপর থেকেই প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর উপজেলার সর্বত্র নজরদারী জোরদার করায় নতুন করে আর কোন অসুস্থ গরু ছাগল জবাই হয়নি। তিনি আরো জানান, স্থানীয় কশাইখানা গুলোতেও নজরদারী জোরদার করা হয়েছে। সুত্র জানায় গত দুদিনে পশু সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শাহজাদপুরে ৫’শ গবাদী পশুকে অ্যানথ্র্াক্স প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে।

(এআরপি/এটিআর/আগস্ট ২৯, ২০১৪)