চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার রূপপুর গ্রামের নিখোঁজ অটোবাইক চালক ইউনুস বিশ্বাস (৫০) বৃহস্পতিবার বিকেলে চাটমোহরের ভাদড়া থেকে অচেতন-বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।

ইউনুস বিশ্বাস সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের মৃত আজহার বিশ্বাসের ছেলে।

এসময় তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে ইউনুস আলীর ব্যবহৃত মোবাইলের সিমটি। তবে তার মোবাইল ফোন ও অটোবাইকটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তাকে মারধর করে অটোবাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

পাবনা সদর থানায় দায়েরকৃত জিডির তথ্যে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ইউনুস বিশ্বাস তার ব্যটারী চালিত নিজ অটোবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সারাদিন বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ করতে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে ইউনুস বিশ্বাস তার মেয়েকে বলেন, আমি চাটমোহরে ভাড়া নিয়ে এসেছি রাতে বাড়ি ফিরব। এরপর উক্ত মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার বড় ভাই শুকচাঁদ বিশ্বাস পাবনা সদর থানায় একটি জিডি করেন। যার নং-১৫৪১। এদিকে ইউনুসের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন পার করছিলেন।

ইউনুস বিশ্বাসের বেয়াই চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রামের ডা. সাহেব আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে অপরিচিত এক ব্যক্তি তার ০১৯৬৫-৭৩৯১৬২ নাম্বার থেকে মোবাইল ফোন থেকে ফোন দিয়ে ইউনুসের ভাই আমিরুলকে জানায়, ‘আপনার ভাই চাটমোহর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের জনৈক রাজা’র নির্মাণাধীন তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অচেতন ও বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে নিয়ে যান।’ এরপর থেকে রহস্যজনক কারণে ওই নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত ইউনুসের স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে বিকেল চারটার দিকে ইউনুসকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থলের পাশে ইউনুস আলীর মোবাইলের সিমটি পাওয়া যায়। তবে পাওয়া যায়নি তার অটোবাইক ও মোবাইল ফোনটি। উদ্ধার ইউনুসের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বজনদের ধারণা যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা অটোবাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে মারধর করে অচেতন করে ভাদড়া গ্রামের ওই বাড়িতে ফেলে রেখে যায়।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম রাত জানান, আমরা বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে তার খোঁজ পাচ্ছিলাম না। আপনার মাধ্যমে তার উদ্ধারের খবর পেলাম। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

এবিষয়ে শুক্রবার চাটমোহর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্র জানায়।

(এসএইচএম/এটিআর/আগস্ট ২৯, ২০১৪)