শেরপুর প্রতিনিধি : উজান থেমে নেমে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার পানিবৃদ্ধি পেয়ে ১৬ দশমিক ৬ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কামারের চর ইউনিয়নের ৬ নং চর, পয়স্তির চর ও গোয়ালপাড়া এলাকার পানিবন্দী লোকজন নৌকা কিংবা কলার ভেলায় চলাচল করতে বাদ্য হচ্ছেন।

এদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক শুক্রবার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের কুলুরচর বেপারী পাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিঁনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির তরফ থেকে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০৫ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি আলু, ১ কেজি মশুরের ডাল ও একটি করে গুড় বিতরণ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরীন ফারজানা, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র সভাপতি খোন্দকার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল মাজিদ খোকন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজনু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকবর আলীসহ রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

হুইপ আতিক নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকা, মসজিদের জন্য ৫০ হাজার টাকা, মাদ্রাসার জন্য ২০ হাজার টাকা এবং ওই গ্রামে প্রবেশের একমাত্র কাঠের সাঁকোটি মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান ঘোষনা করেন।

(এইচবি/এটিআর/আগস্ট ২৯, ২০১৪)