নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটি পাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামে পানিতে চুবিয়ে এবং জবাই করে ২ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর অনুমান সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত আপন খালা একই গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী ঘাতক ইয়াছমিন আক্তারকে (২১) এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ ওই ২ শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লাজৈর গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও বাবুল মিয়া ভায়রা ভাই। বিল্লাল হোসেন বিয়ে করেন বিলকিস আক্তারকে আর বাবুল মিয়া বিয়ে করেন ইয়াছমিন আক্তারকে। দীর্ঘদিন যাবত তাদের পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। ঐ দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার দুপুরে ইয়াছমিন আক্তার তার আপন বড় বোনের ছেলে আরাফাত হোসেনকে (৭) জবাই করে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর পরই চাচা শ্বশুর শাহআলমের ছেলে জসিম উদ্দিনকে (৬) পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ পাশের নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এলাকার লোকজন ঘাতক ইয়াছমিন আক্তারের শরীরে রক্তাক্ত ও কাদাযুক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে এস আই হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশু দু’টির লাশ সুরতহালপূর্বক জনতা কর্তৃক আটক ঘাতক ইয়াছমিন আক্তারকে থানায় নিয়ে আসে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানোসহ আটক ঘাতককে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
(একেএইচ/এএস/এপ্রিল ২১, ২০১৪)