কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় জেলেদের নামে বরাদ্ধকৃত ভিজিডির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউািনয়নের ৩৮১ জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম হলেও তারা পাচ্ছেন ২৫-৩৫ কেজি। এছাড়া জেলেদের তালিকায় জেলে না থাকলেও রয়েছে রাজনৈতিক দলের কর্মী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। এ নিয়ে ইউনিয়নের বরকতিয়া গ্রামে হাতহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুদ্ধ জেলেরা তাদের নামে বরাদ্ধকৃত চাল বিতরনে অনিয়মকারীদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, জাটকা আহরণে বিরত থাকা কর্মহীন দরিদ্র জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হয। উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ৩৮১ জেলের তালিকা করা হয়। কিন্তু তালিকায় থাকা অধিকাংশই মাছ ধরা পেশায় জড়িত নয়।
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের জেলে চান মিয়া হাওলাদার জানান, তার কার্ড নম্বর-০৬৮৭২৪। গত বছরে তিনি চাল পেয়েছেন। কিন্তু চাল নিতে গেলে মহিলা মেম্বার রাণী বেগম স্লিপ নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। ফুলবুনিয়ার মুল কার্ডধারী রহমানের চাল দেয়া হয়েছে আব্দুল আজিজ ও বাবুল হাওলাদারকে। এক জনের চাল এভাবে দু’জনকে দেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে, দরিদ্র জেলেদের চালের বস্তা স্থানীয় ফারুক, মনির, মঞ্জু মোড়ল, মোস্তাফিজ, রুবেল, আলমাছসহ অনেক প্রভাবশালী নিয়ে বিক্রি করেছে। এমনকি বরকতিয়ায় চালের ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি পর্যন্ত হয়েছে। অভিযোগ মতে ৩৮১ জন জেলের জন্য বরাদ্দ দেয়া চাল থেকে অন্তত গড়ে পাঁচ কেজি করে কম দিয়ে প্রায় দুই টন চাল লোপাট করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম শিকদার জানান, তার এলাকায় জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তালিকা করেছেন। ওই অনুসারে জেলের সংখ্য ৫৪২জন। সেখানে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩৮১ জনের। এজন্য দু’চারজনকে ভাগাভাগি করে দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের দুর্নীতি করা হয় নি।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চাল বিতরণ সঠিকভাবে করতে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। তারপরও অভিযোগ ওঠায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এমকেআর/এএস/এপ্রিল ২১, ২০১৪)