কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : একজন এনেস্থিশিয়া ডাক্তার সংকটের কারণে কলাপাড়া হাসপাতালে ৪০ দিন ধরে জরুরী অপারেশন ও সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে হাসপাতালে মৃত সন্তান প্রসবের সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে চারজন গর্ভবতী মা মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ কারণে উদ্বিগ্ন শতশত গর্ভবতী মা সুস্থ সন্তান প্রসবের আশায় পটুয়াখালী ও বরিশালে ভিড় করছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ এই হাসপাতালের এনেস্থিশিয়া ডাক্তার আ. মতিন প্রমোশন নিয়ে বদলী হয়ে যাওয়ার পর থেকে গত ১৪ বছর পর হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ হয়ে যায়। গত মার্চ মাসে এই হাসপাতালে ১৩৯ জন গর্ভবতী মা সুস্থ্য সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু এই মাসে অপারেশন বন্ধ থাকায় ৬০ জন গর্ভবতী মা ভর্তি হলেও মরিয়ম বেগম, রেনু বেগম, রিমা ও আলপনা বেগম মৃত সন্তান প্রসব করেন। রোগীদের অভিযোগ, তারা সিজার করতে পারলে হয়তো সন্তান বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় তাদের মৃত সন্তান হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই মাসে হাসপাতালে ৩৭ জন মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু জরুরী অবস্থায় নরমাল ডেলিভারী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় আরও ১৪ জন গর্ভবতী মাকে পটুয়াখালী ও বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে। কারণ এখানে থাকলে তাদেরও মৃত সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। প্রতিদিন এই হাসপাতালে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মায়েরা চিকিৎসা নিতে আসলেও তাদেরও জরুরী প্রয়োজনে গর্ভাবস্থার আট মাসের পর পটুয়াখালী ও বরিশালে রেফার করা হচ্ছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আ. রহিম জানান, আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, সার্জন থাকলেও তারা গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা দিতে পারছেন না। একজন ডাক্তার (এনেস্থিশিয়া) সংকটের কারণে গত ৪০ দিন ধরে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। তারা একজন ডাক্তারের জন্য বারবার আবেদন করলেও ডাক্তার পোষ্টিং না দেয়ায় এখন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাই ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
(এমকেআর/এএস/এপ্রিল ২১, ২০১৪)