মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে এ’শার নামাজ পড়া অবস্থায় শফিকুল ইসলাম চৌধুরী (৬০) নামে অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়া অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ওই মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুকিত মামুন।

তিনি জানান, মসজিদে যখন এশার নামাজ শুর হয় তখন প্রথম রাকাতেই হঠাৎ করে প্রচন্ড শব্দ শুনতে পাই,মনে হলো ফ্লোরে কিছু একটা পড়েছে, নামাজ শেষ হতেই মুসল্লীরা বলতে শুরু করেন তিনি পড়ে গেছেন। এক পর্যায়ে ধরাধরি করে মুসল্লীরা মসজিদের বারান্দায় নিয়ে শরীরে পানি দিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতাল নিয়ে যান। তবে ইমাম আব্দুল মুকিত মামুন জানান, পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও নামাজেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার দেখা নম্র, ভদ্র, কথা কম বলা ও শিষ্টাচারে ভরপুর একজন খাটি মুসল্লী ছিলেন এই ব্যাংক কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে সোস্যাল মিডিয়াজুড়ে নামাজ পড়া অবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু নিয়ে রীতিমত তুমুল আলোচনা চলছে। কেউ কেউ এমন মৃত্যুুর ঘটনাকে রাজকীয় শেষ বিদায় হিসেবে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এমন মৃত্যু কয়জনেরই ভাগ্যে জুটে?

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মৌলভীবাজার শহরের পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের সোনাপুর রোডে এডভোকেট আব্দুল খালিক এর মালিকানাধীন বাসায় ভারাটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার আলাপুর গ্রামে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি অগ্রনী ব্যাংক লিঃ মোস্তফাপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ হোস্টেল মাঠে শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পৌর কাউন্সিলর আছাদ হোসেন মক্কুসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং আত্মীয়স্বজন জানাযার নামাজে শরিক হন। পরে ২য় জানাযার নামাজ ও দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলাপুর গ্রামে। সেখানে জুমার নামাজের পর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

মৌলভীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আছাদ হোসেন মক্কু বলেন, কলেজ মসজিদে এশার নামাজ পড়া অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তবে তিনি হার্ডএট্যাক করেছেন বলে ধারনা করছি।

(একে/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২১)