শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : গবাদি পশুকে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য শাহজাদপুরে এক জনসচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার হল রুমে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর কতৃক আয়োজিত এ সভায় শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ রহমানের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই।

সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এলিজা খান, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার শহিদুল ইসলাম খোকন, ২২ জেলা প্রকল্পের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোজাহারুল ইসলাম ছাড়াও এ সভায় প্রায় শতাধিক গো-খামারি উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি শাহজাদপুর ও পার্শ্ববতী উল্লাপাড়া উপজেলায় নতুন করে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় মুখ্য আলোচক ডা. আব্দুল হাই সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও খামারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তড়কা এমনি একটি রোগ, এ রোগের জীবাণু দীর্ঘদিন পরেও আবার নতুন করে বিস্তার ঘটায়। তাই অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মৃত পশুকে গভীর গর্ত করে দ্রুত মাটিতে পুঁতে রাখা বা পুড়িয়ে ফেলা জরুরি।

অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধ ও নির্মুল করার জন্য তিনি উপস্থিত খামারিদের তাদের পশুকে নিয়মিত টিকা প্রদান ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ডাক্তার ও মাঠ কর্মীদের সাখে যোগাযোগ রাখার জন্য অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, শাহজাদপুর দুগ্ধ এলাকা হওয়ায় এখানকার খামারিদের অ্যানথ্রাক্সের মত মরণ ব্যধি থেকে গরুকে রক্ষা করতে হলে খামারিদের অবশ্যই আধুনিক চিকিৎসায় ফিরে আসতে হবে। তিনি পশুকে টোটকা ও কবিরাজী চিকিৎসা না করার পরামর্শ দেন।

এদিকে শাহজাদপুরে নতুন করে অ্যানথ্রাক্স দেখা দেওয়ায় খামারীদের সচেতন করতে ইতিমধ্যেই গবাদী পশুকে নিয়মিত টিকাদান, অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে প্রানি সম্পদ অফিসের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা, গবাদী পশুকে বিশুদ্ধ পানি পান করানো, অসুস্থ পশু জবাই না করা, মৃত পশু খোলা জায়গায় ও পানিতে না ফেলে ৬ ফুট মাটির নিছে পুতে রাখা ও পশু জবাইয়ের আগে ডাক্তারী সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার পত্র গ্রামে গ্রামে বিলি শুরু করা হয়েছে।

(এআরপি/এএস/আগস্ট ৩০, ২০১৪)