নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে ওসি সহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ৪ জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করে।

আটককৃতদের মধ্যে মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এই সংঘষের সময় নাটোর সদর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন ও এসআই নুরে আলম সহ মোট ৬ জন আহত হয়েছে।

অপরদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে তাদের ২০ জন আহত হয়েছে বলে দাবী করা হয়। এঘটনায় পুলিশের এসআই নুরে আলম বাদী হয়ে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী,সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন,উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুন নবী ও শহর জামায়াতের সেক্রেটারী আতিকুল ইসলাম রাসেল সহ জামায়াত-শিবিরের ১৩ নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াইশ জনের বিরুদ্ধে থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দু’টি মামলার একটি পুলিশের ওপর হামলা পেটানো সহ সরকারী কাজে বাধা দানের অভিযোগে দন্ডবিধি আইনে এবং অপরটি দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলো জামায়াত কর্মী ওমর আলী এবং দুই শিবির কর্মী আবু তালেব ও শফিকুল ইসলাম।

সোমবার সকালে নেতা কর্মীরা জামায়াতের আটক কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবীতে হরিশপুর এলাকায় মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ টিয়ার শেল ও সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কল্লোল নামে আহত এক জামায়াত নেতাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় পুলিশের ছোড়া ৪ টি টিয়ার শেল শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে ছোটাছটি শুরু করে। টিয়ার শেলের ঝাঁজে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। শিক্ষকরা তাদের সেবা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরুন কুমার ঘোষ জানান,স্কুল চত্বরের বাহিরে বিস্ফোরিত টিয়ার শেলের ধোয়াই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্কুলটি মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় এই বিপত্তি ঘটে।

শহর জামায়াতের সেক্রেটারী আতিকুল ইসলাম রাসেল দাবী করেছেন পুলিশ মিছিলে অর্তকিতে হামলা চারিয়ে এলোপাতারি গুলি বর্ষন করে। এতে তাদের ২০ নেতা কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এরমধ্যে জামায়াত নেতা সামছুল ইসলাম কল্লোলকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, শান্তিপুর্ন অবস্থান থেকে জামায়াত কর্মীরা পুলিশের অর্তকিতে চড়াও হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৪ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ও ৯ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনার সময় সদর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন ও এস আই নুরে আলম আহত হয়।

(এমআর/এটি/এপ্রিল ২১, ২০১৪)