বরগুনা প্রতিনিধি : বেতাগী-কাঠালিয়া ও বেতাগী-কচুয়ার বিষখালী নদী পারাপাড়ে অতিরিক্ত টোল আদায়, যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যাবহার অদক্ষ চালক দিয়ে নদী পারাপারসহ ব্যাপক  অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইজারাদাররা সরকারের নিয়মনীতি অমান্য করে ইচ্ছে মত খেয়া পারাপার করে আসছে।

এমন কি টোল আদায়কারীরা স্কুল, কলেজ, ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরন করেন বলে জানিয়েছেন পারাপাররত শিক্ষার্থীরা।


জানাযায়, যাত্রী পারাপাড়ে ২ টাকার পরিবর্তে ১২টাকা স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ৬ টাকা একটি মটর সাইকেল পারাপারে ৫ টাকার পরিবর্তে ৪০টাকা , বাইসাইকেল ৩ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা, গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০ থেকে ১০০টাকা ও হালকা যানবাহন সর্বনিম্ম ১০টাকা করে আদায় করা হয়। এব্যাপারে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি।


বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস জানান,সরকারি নিয়মের বাইরে টোল আদায় করা হলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।


বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, টোল আদায়ের ব্যাপারে জেলা পরিষদ ভালো জানে এটা আমাদের দায়িত্ব না তার পরেও জেলা পরিষদ ও বেতাগী নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খোজ খবর নিচ্ছি সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।


ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমার ভালোভাবে জানা নেই তার পরেও কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান তিনি ব্যাবস্থা নিবেন।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার জানান, অতিরিক্ত টোল আদায় করে এটা সত্য, আমরা প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করি কিন্তু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত টোল আদায়ে ১০০ টাকা জরিমানা ও টোল আদায়ের তালিকা টানিয়ে না রাখলে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা কম হওয়ায় তেমন কোন সুফল পাওয়া যায় না। জরিমানা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার আইন থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুফল পাওয়া যেত।


কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল বাশার মুহাম্মাদ আমীর উদ্দিন জানান আমরা মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যাণ আদালত বসিয়ে কচুয়া খেয়াঘাট অভিযান চালাই কিন্তু সেখানে টোল আদায়কারী কাউকে পাওয়া যায় না। যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায় করা হয় বেতাগীর ওপার থেকে সে জন্য কিছুই করতে পারছিনা। আবার ট্রলার আটক করা হলে যাত্রীদের সমস্যার কারণে ছেড়ে দিতে হয়। আমি একবার এ ব্যাপারে লিখিত ভাবে উদ্বিতর্ন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি আবার ও রির্পোট পাঠাবো।


টোল মালিক মো. ছগির জানান, আমার জানামতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়া হয় এবং অনেকে ভাড়া দেয়ও মোটরসাইকেলে ৪০ থেকে ৫০ টাকা নেয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে ৫০ টাকা ভাড়া নেয়া হয় না সাফ জানিয়ে দেয় ।

(এমএইচ/এএস/আগস্ট ৩১, ২০১৪)