কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিনে দুটি মাছ ধরা ট্রলারে সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলা ও গুলিবর্ষনে মাইজল মাঝি (৪০) এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে সাত জেলে। এ সময় এফবি শামসুদ্দিন ট্রলারের জিয়া মাঝিকে (৪৫) অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

রবিবার দুপুরে এ ঘটনায় আহত জেলে গজনবী , মাকসুদ , শাহআলম ও মিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত জেলে গনি হাওলাদার , আলমগীর হোসেন ও কামাল হোসেনকে মহিপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

এফবি শামসুদ্দিন ট্রলারের জেলে আলমগীর হোসেন জানায়, তাদের এবং চট্রগামের বেঙ্গল কোম্পানীর এফবি বসুন্ধরা-৪ ট্রলারের জেলেরা সাগরে জাল ফেলে বিশ্রাম নেয়ার সময় দুটি নামবিহীন ট্রলারে করে ২০/২২ জন সশস্ত্র জলদস্যু তাদের ট্রলারে হামলা করে। জলদস্যুরা দুটি ট্রলারে সকল জেলেকে মারধর করে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে গুলি করার ভয় দেখায়। কিন্তু তাদের কাছে টাকা নেই জানালে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন করে। এতে বসুন্ধরা-৪ ট্রলারের মাইজল মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় ওই জেলেরা।

তিনি আরো জানায়, দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে জলদস্যুরা তাদের ট্রলারের মাঝি জিয়া উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত জিয়ার বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামে। নিহত জেলে মাইজল মাঝির লাশ এখন মৎস্য বন্দর মহিপুরে রয়েছে। তার বাড়ি লক্ষিপুর জেলার রামগতি উপজেলায়।

আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদারউদ্দিন আহমেদ মাসুম বলেন, জলদস্যুদের কারনে সাগরে মাছ শিকারে যেতেই ভয় পাচ্ছে। প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটলেও কোন জলদস্যু গ্রেফতার হচ্ছে না। সরকার বা প্রশাসন যদি আরো বেশী কঠোর হতো, তাহলে এ ধরণের জলদস্যুতা বহুগুনে কমে যেত।

মহিপুর নৌ-পুলিশ কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.আবুল কাশেম সাগরে জলদস্যুদের হামলার কথা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন সাধারণ ডায়েরি হয়নি। নিহত জেলের লাশ আমাদের হেফাজতে রয়েছে।

(এমকেআর/এএস/আগস্ট ৩১, ২০১৪)