স্টাফ রিপোর্টার : স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে অপহরণ চেষ্টা হামলার ঘটনায় বখাটেদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় অভিযোগের পর তদবীরের মুখে মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়নি। সেই সাথে থমকে গেছে পুলিশি তদন্ত।

উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের ভোক্তভোগী গৃহবধু গত রবিবার ৫ বখাটের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর মঙ্গলবার মধ্যরাত অবধি থানায় তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়নি।

মঙ্গলবার রাতে তাহিরপুর থানার এসআই পাপেল রায় গণমাধ্যমকে বলেন,স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বিষয়টি আপোস করে দেবেন বলায় অভিযোগটি মামলা হিসাবে থানায় রেকর্ড করা হয়নি।

অভিযুক্তরা হলেন,উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের ওয়ারিস মিয়ার ছেলে আয়নাল হক, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে নজির হোসেন,মৃত ধন মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান,ছক্তার মিয়ার ছেলে একরাম,শহর আলীর ছেলে বাবুল সহ অজ্ঞাত নামা ২ হতে ৩ জন।

থানায় দেয়া অভিযোগ ও ভোক্তভোগী গৃহবধুর পরিবারের লোকজনের সুত্র জানায়, উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের বখাটে আয়নাল হক একই গ্রামের দরিদ্র পরিবারের বিবাহযোগ্য যুবতীকে প্রায়ই আপক্তির প্রস্তাব ও যৌন হয়রানি করে আসছিলো।

তার বখাটেপনার হাত হতে রক্ষা পেতে দরিদ্র অবিভাবক গত ৫ মাস পুর্বে ওই যুবতীকে পাশর্^বর্তী খলিশাজুরী গ্রামে এক যুবকের নিকট বিয়ে দেন।

এদিকে ঈদুল ফিতরের পরদিন শনিবার স্বামীকে নিয়ে পিতার বাড়ি হলহলিয়ায় বেড়াতে যান ওই গৃহবধু।
পরদিন সন্ধায় স্বামীকে নিয়ে পরিবারের জন্য উপজেলার বাদাঘাট বাজার হতে কেনাকাটা শেষে পৈতৃক বাড়ি হলহলিয়ায় ফেরার পথে খেয়াঘাটের অদুরে মোটরসাইলে থেকে নামা মাত্র বখাটে আয়নাল তার সহযোগীদের নিয়ে স্বামীর সামনেই ওই গৃহবধুকে অপহরণ চেষ্টা চালায়।

বাঁধা দিতে গেলে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বেধরকভাবে মারপিট করে আহত করে বখাটচক্র। এরপর সড়কে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটে চক্র সটকে পড়ে।

এদিকে ঘটনার পর রাতেই গৃহবধুর স্বামীকে অবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার রাতে অভিযোগকারী গৃহবধু গণমাধ্যমকে বললেন, আমরা দরিদ্র পরিবারের মানুষ,বখাটেদের জ¦ালায় অতিষ্ট হয়ে আমাকে অন্য গ্রামে বিয়ে দেয়ার পরও তাদের বখাটেপনা থামেনি বরং উভিযুক্তরা স্থানীয় ইউপি সসস্যের আত্বীয় হওয়ায় তদবীরের কারনে আমার দেয়া অভিযোগটি তদন্তকারী অফিসার থানায় মামলা হিসাবে রেকর্ড করতে মঙ্গলবার অবধি কোন আইনগত ব্যবস্থাই নেননি।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের সাথে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কোন সদুওর না দিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

(এইচ/এসপি/মে ১৯, ২০২১)