প্রবাস ডেস্ক : সাল্লার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ঝুমন দাসের মুক্তির জন্য গ্লোবাল বেঙ্গলী হিন্দু কোয়ালিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপির কপিটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল। 

রবিবার ১৬ই মে ২০২১


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

ঢাকা। বাংলাদেশ।


বিষয়: ঝুমন দাস আপনের মুক্তির জন্যে স্মারকলিপি


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী:

বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অত্যন্ত দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে লক্ষ্য করছি যে, হেফাজত নেতা মামুনুল হক-এর বিরুদ্ধে ফেইসবুকে পোস্টিং দিয়ে গ্রেফতারকৃত ঝুমন দাস আপন এখনো জেলে আছেন। মামুনুল হক বহুবিধ অপরাধে জেলে, একজন অভিযুক্ত অপরাধীকে নিয়ে পোষ্ট দিয়ে ঝুমন দাস আপন জেলে কেন এ প্রশ্ন স্বাভাবিক।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

ঝুমন দাস আপন নিরপরাধ। তাঁর পরিবার আছে। তাঁর বৃদ্ধ মা ছেলের মুক্তির জন্যে আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, কিন্তু পৌঁছতে পারছেন না। তাঁর বড় ভাই নুপুর দাস আপনার কাছে ঝুমন দাস আপন-র মুক্তির জন্যে আবেদন জানাচ্ছেন। সাধারণ এই পরিবারটি আপনার কাছে পৌঁছতে চাইলেও সম্ভব হচ্ছেনা। অথচ তাদের বিশ্বাস ঘটনা আপনার নজরে এলে ঝুমন দাস মুক্তি পাবেন।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

ঝুমন দাস আপন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেফতার হয়েছেন। শাল্লায় তাঁর বাড়ীঘর আক্রান্ত হয়েছে। আমরা জানি সরকার শাল্লার ঘটনার প্রেক্ষিতে মৌলবাদীদের গ্রেফতার করছেন। কিন্তু ঝুমন দাস আপনের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান হচ্ছে। একজন নিরপরাধ ব্যক্তি এভাবে জেলে বন্দি আছেন, যা আপনার সরকার ও গণতন্ত্রের জন্যে সুখকর বার্তা দেয়না।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

আমরা তাই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আপনার কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনি ঝুমন দাস আপন-এর বিষয়টি দেখুন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আপনি নজর দিলে ঝুমন দাস আপন জেলে থাকবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি একজন মা, তাই ঝুমন দাস সুমনের মা-এর ব্যথা আপনি বুঝবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অনুগ্রহ করে মায়ের ছেলেকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিন্।

ধন্যবাদ। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।


নিবেদক

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক।

[email protected] 1-646-696-5569

অরুন দত্ত,

টরন্টো, কানাডা।

[email protected]; 1-647-267-6564

নুপুর দাস (ঝুমন দাসের ভাই),

০১৭৬-২৭৮-২১০২, বাংলাদেশ।

গোবিন্দ প্রামানিক, বাংলাদেশ।

নবেন্দু দত্ত, আমেরিকা।

এড. সুমন রায়, ঢাকা।

অরুন বড়ুয়া, জেনেভা।

উদয়ন বড়ুয়া, প্যারিস, ফ্রান্স।

দিলীপ কর্মকার, মন্ট্রিল, কানাডা।

তরুণ কুমার চৌধুরী, সুইডেন।

স্বদেশ বড়ুয়া, ফ্রান্স।

জহর কান্তি সরকার, জার্মানী।

চিত্রা পাল, স্টকহোম, সুইডেন।

তুহিন পাল, ভ্যানকুভার।

সৌমেন্দ্র পাহাড়ী, কলকাতা।

দীপন মিত্র, ঢাকা।

শম্ভূনাথ বিশ্বাস ও অনুপম দাস, ভ্যানকুভার।

রণবীর বড়ুয়া, নিউইয়র্ক।

সরোজ কুমার দাস, কানাডা।

পার্থসারথী চক্রবর্তী, বাংলাদেশ।

বিষ্ণু চ্যাটার্জী, ভ্যানকুভার।

অরবিন্দ রায়, বাংলাদেশ।

আনন্দ মোহন রায়, পঞ্চগড়।

গোপাল কৃষ্ণ রায়, রংপুর।

পুস্প রঞ্জন। বিমল কুমার চক্রবর্তী। অন্তরা বিশ্বাস, টরন্টো। প্রভাতী রায়। সুমন কুমার রায়। প্রবীর গোপাল দাস, বাংলাদেশ।

উজ্জ্বল দেওয়ানজী, চট্টগ্রাম।

জয় মাহাতো অলোক। এসিপি জয়, কুড়িগ্রাম।

অনুকূল চন্দ্র রায়, লালমনিরহাট।

বিপ্লব মিত্র। আশুতোষ চৌধুরী, দিরাই।

মানিক চন্দ্র, দিনাজপুর।

কমল কান্ত কর্মকার। সুদর্শন চন্দ্র সরকার। বিমল কুমার চক্রবর্তী। পরিমল রায়. নীলফামারী।

দেবাংশু শেখর দাস। গোপাল রায় ও ডাঃ সঞ্জীব সরকার, কলকাতা প্রমুখ।

(পিআর/এসপি/মে ১৯, ২০২১)