বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আরও ৫’শ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পর প্লাবিত হচ্ছে হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারিয়াকান্দি, ধুনট, সোনাতলা, শাজাহানপুর এবং গাবতলী এই ৫ উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন অন্তত ২ লাখেরও বেশি পানি বন্দি মানুষ। খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছেন অনেকেই।

সারিয়াকান্দি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান জানান, সারিয়াকান্দিতে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত আর পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে ১০ লাখ হেক্টর আবাদি জমি (আউশ, রোপা আমান, বীজতলা, পাট এবং শাক-সবজি)। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশ্রায়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোনাতলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফিরোজুল ইসলাম জানান, এই উপজেলায় ২৬ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সাড়ে আট হাজার পরিবার পানিবন্দি এবং এখানে পানির নিচে নিমজ্জিত ১০ হাজার ৩৫ হেক্টর আবাদি জমি।

ধুনট উপজেলা নির্বাহি অফিসার জানান, ধুনট পৌর এলাকা ও সদরসহ ৫০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ছোটবড় সব জলাশয় তলিয়ে গেছে।

এ ছাড়া গাবতলী ও শাজাহানপুরের ২০টি গ্রামে নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার জানান, এখনও উজানের পাহাড়ি ঢল যমুনায় প্রবেশ করছে। ফলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। তবে দুই একদিনে মধ্যে কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪)