নিউজ ডেস্ক : দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচিনের পর থেকে বিএনপির কর্মকাণ্ডে বেজায় অসন্তুষ্ট। কিন্তু তারা মনে করেন বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও সরকারের দলটির সঙ্গে সংলাপে বসা উচিত।

সম্প্রতি ঢাকা ট্রিবিউন পরিচালিত এক জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারীরা এমনটাই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

জরিপে উত্তরদাতাদের শতকরা ৫২ শতাংশ বিএনপির কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্টির কথা জানান। যদিও শতকরা ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ বলেছেন তারা সন্তুষ্ট। তবে, বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেও উল্লেখযোগ্য মানুষ শতকরা ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ মনে করেন বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংলাপে বসা উচিত।

ঢাকা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গত ১০-২২ আগস্ট ব্যাপী জনমত জরিপটি পরিচালনা করে। জরিপে এক হাজার ২১৭ জন মানুষ অংশগ্রহণ করে। জরিপকালে শহর এবং গ্রামের নারী ও পুরুষদের নির্দিষ্ট প্রশ্নের ভিত্তিতে টেলিফোনে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের পাঁচভাগের চারভাগ বিএনপির আন্দোলনের হুমকিকে সমর্থন করেন না। এর মধ্যে ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ বিএনপির অবস্থানের প্রবল বিরোধী। মাত্র ২০ শতাংশ মনে করেন বিএনপির আন্দোলনে যাওয়া উচিত।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি জোট গড়ার প্রশ্নে অর্ধেকেরও বেশি উত্তরদাতা এ জোটের বিপক্ষে মত দেন। ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মনে করেন বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা। কিন্তু ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ মনে করেন দল দুটির জোটবদ্ধ হিসেবে থাকা দরকার।

উত্তরদাতাদের কাছে বিএনপির দীর্ঘ দিনের দাবি 'সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন' প্রসঙ্গেও মতামত জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ৫২ শতাংশ জানান ৫ জানুয়ারির 'একতরফা নির্বাচনে' ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই নতুন নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দেন। ১৭ শতাংশের সামান্য বেশি মানুষ এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন। এছাড়া ৮ দশমিক ৪ শতাংশ যত দ্রুত এবং ১ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন চান।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা ট্রিবিউন পরিচালিত জনমত জরিপে প্রায় ৭৭ শতাংশ যত দ্রুত অথবা এক বছরের মধ্যে নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। প্রায় ৪৪ শতাংশ জানিয়েছিলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন এবং ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ জানিয়েছিলেন নতুন নির্বাচন আয়োজনই দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪)