চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : আধুনিক রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগের পরিবর্তে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের অবহেলা, মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও তদারকির অভাবে এ আধুনিক পদ্ধতি রিবনার মেশিন কোন কাজেই আসছে না। ফলে, মুখ থুবড়ে পড়েছে পাট পচাঁনোর আধুনিক এ রিবন রেটিং পদ্ধতি।

চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সিংড়া উপজেলার কৃষকের মাঝে রিবনার মেশিন বিতরন করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে মনে করছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ পাটচাষীদের মাঝে আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁচা পাটের আঁশ ছাড়িয়ে জাগ দিতে চাষীদের মধ্যে রিবনার মেশিন বিতরণ করে।

এ অঞ্চলের কৃষকরা অধিকাংশ এলাকায় এ পদ্ধতির কার্যক্রম দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকার কৃষকরা রিবনার মেশিনে পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। আধুনিক এ পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেনি কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের তদারকি না থাকায় পাট চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরন করা রিবনার মেশিন পাট জাগের ভরা মৌসুমেও ব্যবহার না করে তুলে রেখেছে চালের বাতায়। একটি মেশিন প্রতি ১০০ জন পাটচাষীর পালাক্রমে ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে। ব্যবহার পদ্ধতি না জানায় এবং এই মেশিনের অধিকাংশই ব্যবহার হচ্ছে না।

ফলে চাষিরা আধুনিক পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর পরিবর্তে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছে।
জাবরকোল গ্রামের আজগার আলী ও মোস্তফা বলেন, পাটের আঁশ ছাড়ানো এই আধুনিক মেশিনের নাম শুনেছি এখন পর্যন্ত চোখে দেখিনি। এই মেশিনে কিভাবে পাটের আঁশ ছাড়াতে হয় জানি না। গুনাইগাছা গ্রামের কৃষক খয়ের আলী বলেন, শুনেছি রিবন রেটিং মেশিনের মাধ্যমে সহজেই কাঁচা পাটের আঁশ ছাড়িয়ে পাটের জমিতেই গর্ত করে তাকে পানি দিয়ে জাগ দিতে হয়। কিন্তু পাটের জমিতে জাগ দিয়ে রাতদিন পাহারা না দিলে পাট চুরি হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে।

(এসএইচএম/এএস/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪)