রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে।  সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলিতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বহনযোগ্য সম্পদ  নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। 

উপকূল এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি , ঈশ্বরীপুর, রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে ১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারন ক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জার গিফারি। এ ছাড়াও জেলায় দেড় হাজার স্কুল কলেজ মাদ্রাসাও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কোভিড পিরিয়ডে নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৪০ টি পয়েন্ট খারাপ অবস্থায় রয়েছে। পূর্নিমার ভরাকাটাল ও পূর্নচন্দ্র গ্রহনের সময় ইয়াস এর দাপটে জলোচ্ছাসের আশংকা করছেন উপকূলবাসী। এর ফলে বেড়িবাঁধগুলি ভেঙ্গে পানিতে সয়লাব হতে পারে উপকূলের জনপদ।

এদিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮ টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহকারি বন সংরক্ষক এমএ হাসান বলেন ইয়াস আঘাত করলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছাস হলে তাদেরকে উদ্ধার করে আনার জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

(আরকে/এসপি/মে ২৫, ২০২১)