উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুতের এক গ্রাহকের ব্যবহৃত মিটারে ১২০টাকার বিলের বিপরীতে একমাসে ৭৮হাজার ৬শ’ ৭৯টাকা এসেছে। ভূতুড়ে এই বিলে দিশেহারা ঐ অসহায় পরিবারটি বিল পরিশোধে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের চাপে বাড়ি ছাড়ার উপক্রম। ঘটনাটি উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের। ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করা মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী গৃহবধূ রুমা আক্তার মিটারের গ্রাহক। ব্যবহৃত পল্লী বিদ্যুৎ (হিসেব নং : ০৩-৫৩৬-১১৭৮) ।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী গ্রাহক রুমা আক্তার জানান, গত ৫ বছর যাবৎ ওই মিটারটি ব্যবহার করে আসছেন। তিনি মিটারটিতে একটি ফ্যান ও একটি এনার্জি লাইট ও মোবাইল চার্জার ব্যবহার করে আসছেন। বিগত দিনে প্রতি মাসে ১শ’ টাকা, ১শ’ বিশ বা ১শ’ ৫০ টাকার মধ্যে বিলের সীমাবদ্ধতা ছিলো। বিদ্যুতের পূর্বের বিলের কপি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, রুমা আক্তার নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারেন মার্চ মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭৮,৬৮৯ টাকা। এমন তথ্য পেয়ে তিনি ছুটে যান ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে, সেখানে গিয়ে কোনো সমাধান মিলেনি বরং কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারে দিশেহারা বলে জানিয়েছেন রুমা বেগম।

এদিকে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে রুমা আক্তারের ব্যবহৃত ঘরটিতে একটি ফ্যান ও একটি বাতি ছাড়া আর কোনো কিছুই চোখে পড়েনি। ঐ মিটারটি দিয়ে অন্য কিছু চার্জ দেয়া কিংবা ব্যবহার করা কিংবা শর্টসার্কিটের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-০২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসে কর্মরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নূরল হোসাইন জানান, গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলে তো আর বিল আসে না। আমি খোঁজ নিয়েছি ওইখানে শর্ট সার্কিট হয়েছে। আমি বলে দিয়েছি গ্রাহককে বিলগুলো দিয়ে দেয়ার জন্যে। শর্ট সার্কিট হয়ে শুধু বিদ্যুৎ বিল এসেছে, কোনো অগ্নিকা-, মেইন সুইচ কিংবা মিটারের কোনো ক্ষতি হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। আপনারা ইউএনও মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করেন, ইউএনও স্যার বিষয়টি জানেন।

এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরির সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তিনি ডিজিএমকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে ডিজিএম গ্রহণযোগ্য কোনো উত্তর দিতে পারেন নি।

(ইউ/এসপি/মে ২৭, ২০২১)