অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : ব্রিজের কাজ শুরুর আগে জনসাধারণের চলাচলের জন্য স্বরু কাঠেরপুল তৈরি করার কথা থাকলেও ঠিকাদার বানিয়েদিলেন নড়বড়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ একটি সাঁকো। এখন সেটিও আর নেই । কাজও রয়েছে বন্ধ।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প খেয়ায় পার হচ্ছেন দুই উপজেলার মানুষ। 

পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া বাজার সংলগ্ন হলতা খালের উপরে নির্মীয়মান একটি গার্ডার ব্রিজ এর কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে ঠিকাদার চলে গেছেন বলে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বরগুনার পাথরঘাটা এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এই দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে।

স্থানীয় সমাজসেবক এবং ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান সালু বলেন, গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করার স্থলে ঠিকাদার একটি কাঠের পুল মানুষের যাতায়াতের জন্য তৈরী করে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ঠিকাদার সেটি করেননি। তিনি চিকন একটি কাঠের সাঁকো বানিয়েছিলেন সেটিও এখন নেই। খেয়া নৌকায় সাপলেজা ইউনিয়নের নলি জয়নগর এলাকার বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে প্রতিদিন।

তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া সংসদীয় আসনের সাংসদ ডাক্তার রুস্তম আলী ফরাজী সরেজমিন পরিদর্শনকালে ঠিকাদারকে পাশাপাশি দুটি সাকো নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার কথাও এই ঠিকাদার রক্ষা করেননি।

জানা গেছে, এই হলতা নদীর উপরে গার্ডার ব্রিজের কাজটি পেয়েছেন পিরোজপুরের নিরু খান নামক জনৈক ঠিকাদার। শুক্রবার দুপুর বারোটার দিকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ডায়েল করে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নাচনাপাড়া মিডিয়ার আরিফুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস আগে ঠিকাদার এই ব্রিজের কাজ শুরু করে এখন তা বন্ধ করে রেখেছেন।

তবে ওই ঠিকাদারের একজন তত্ত্বাবধায়ক মনোয়ার বলেন, প্রথম বরাদ্দ পেয়ে ব্রিজের বোরিংপাইলের কাজ করেছি আমরা। আবার বরাদ্দ না হলে কাজ শুরু করতে পারতেছিনা।

(এটি/এসপি/মে ২৮, ২০২১)