আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিজেপির যতো ক্ষোভ যেনো মুসলমানের উপরেই। দলটির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতার বক্তৃতায় এমনটিই মনে করা অস্বাভাবিক নয়।

নির্বাচনী প্রচারণা বক্তব্য দেয়ার সময়ে একাধিকবার দলটি ভারতের মুসলিমকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। সম্প্রতি বিজেপির দুই প্রবীণ নেতা তোগাড়িয়া এবং গিরিনাজ সিংয়ের বক্ত্যবে অস্বস্তিতে পড়েছে দলটি।

বিহারের বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বলেছিলেন, যারা নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করছেন, ভোটের পর তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। আর হিন্দু এলাকায় কোনও মুসলিম নাগরিক সম্পত্তি কিনলে তাকে ভিটেছাড়া করার ডাক দিলেন ভিএইচপি নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া।

কমিশন সেই বক্তব্যের সিডি চেয়ে পাঠিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের এই দুই নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণে ভোটের ময়দানে রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি। তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

গিরিরাজ সিং মোদি বিরোধীদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন। দ্রুতিই পরিস্থিতি সামলে নিতে তৎপর হয় বিজেপি।

গিরিরাজ যা বলেছেন, তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে পরিস্থিতি সামাল দেয় দলটি। কিন্তু, অনড় গিরিরাজ। আর এই অস্বস্তির মধ্যেই আরেকটা বেফাঁস কথা বলে ফেললেন ভিএইচপি নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। হিন্দু বসতি এলাকায় মুসলিম কেউ সম্পত্তি কিনলে তাকে উৎখাত করার ডাক দিলেন তোগাড়িয়া। আর এতেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।

কংগ্রেসের পাশাপাশি সরব হয়েছে এনডিএ-র অন্যতম সহযোগী দলও। কমিশনও সঙ্গে সঙ্গেই নড়েচড়ে বসেছে। চেয়ে পাঠানো হয়েছে তোগাড়িয়ার বক্তব্যের সিডি। প্রবীণ তোগাড়িয়া অবশ্য বলছেন, পুরোটাই পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধে প্রচার চলছে। ওই ধরণের কোনও কথা তিনি বলেনইনি।

সংখ্যালঘু ভোট পেতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। সেখানে শিবিরের দুই নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্য যে কতটা ক্ষতি করে দিল, তা সম্ভবত ভালোই বুঝতে পারছেন রাজনাথ সিংরা।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ২২, ২০১৪)