নিউজ ডেস্ক : দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যাজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জীবনহানী এবং বসতবাড়ি, গবাদি পশু, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার অসহায় মানুষের দুর্দশায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘এই রকম দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সরকার নির্লিপ্ত ও উদাসীন। বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে এখন পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতায় সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।’

তিনি উল্লিখিত মন্তব্য করে বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, হাটবাজার নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, সুপেয় পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে বন্যাকবলিত মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।

সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, “দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার ন্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের প্রাণহানি, হাজার হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত, ফসলী জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে বিপন্ন বন্যাকবলিত মানুষদের প্রতি দেশবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে মর্মাহত।”

বেগম জিয়া বলেন, ‘এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারীদের পরিবার পরিজন এবং দুঃখ দুর্দশায় পতিত বেঁচে থাকা মানুষদের সহানুভূতি জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘সরকারের সর্বনাশা নীতির কারণেই বেহাল রাস্তাঘাট, অসহনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অসহনীয় মুদ্রাস্ফীতিতে দেশ আজ বিপন্ন। তার ওপর এই বন্যার ভয়াবহ ব্যাপকতা দেশবাসীকে চরম সংকটের দিকে ঠেলে দেবে।’ উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোর বন্যা কবলিত মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য তার দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে, ষড়ঋতুর এই দেশে কষ্টসহিষ্ণু মানুষ যুগযুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে নতুন করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। এবারেও শত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বন্যাকবলিত সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর উপদ্রুত মানুষ সংকট নিরসনে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ ২০ দলীয় জোট এই গুরুতর সংকটে বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের পাশে থাকবে।’

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪)