শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : এক মাসের ব্যবধানে দিনাজপুরের বাজারে আবারও পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা। আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জটিলতার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ এবং  দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ তেমন না থাকার কারণে  সৃষ্টি হয়েছে এই পরিস্থিতি।এমন মন্তব্য ব্যবসায়ীদের।

আজ মঙ্গলবার সরজমিনে দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাস আগে ঈদের বাজারে যে পেঁয়াজ ৩৭ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে,তা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে, ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় ।

শহরের গোর এ শহীদ বড় ময়দানের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা লিয়াকত আলী ও মজিবুর রহমান জানান, ‘আবারো পেয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত এক মাসের মধ্যে বেড়েছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। যাতে আমাদের মতো গরিব মানুষ কমদামে কিনতে পারে। এছাড়া সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমেও যাতে পেঁয়াজ দেওয়া হয় সেই দাবিও জানায় তারা।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আলাল হোসেন ও মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হতো। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। কিন্তু আইপির কারণে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কিছুদিন আগে রেলপথে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের পাশাপাশি আমদানিকারকদের গুদামেও কিছুটা ছিল। যা আমরা এতদিন সেখান থেকে কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতাম। কিন্তু সেসব পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। এজন্য দেশি পেঁয়াজের উপর চাপ বাড়ায় দাম বাড়ছে।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, ‘ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যে আইপি ছিল গত ২৯ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এর পর নতুন করে আর কোন পেয়াজ আমদানির জন্য আইপি না পাওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের অনেক আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি চেয়ে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত ইস্যু হয়নি।’ পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া উচিত। তা না হলে কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতিএকশত টাকায় উঠবে।

(এস/এসপি/জুন ০১, ২০২১)