কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের হিড়িক পড়েছে। গত কয়েকদিনে জেলায় চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কুমারখালীতে একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি অখিল পোদ্দার ও মোহনা টেলিভিশনের খোকসা উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। উক্ত ঘটনায় থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কুমারখালী থানার ওসি লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দৌলতপুরে এক সেনা সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগে দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম ও কনস্টেবল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যাহার করে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকার জানান, পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের দিন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই ছাত্রলীগের নেতাকর্মিসহ ছাত্রদের উপর গুলি চালায়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। এ অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জনককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিচিম জানান, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। অপরাধ করলে তার শাস্তি ভোগ করতে হবে। পুলিশের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।

(কেকে/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪)