কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’দল চোরাকারবারীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

আহতরা গোপনে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানায়, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ ও কৃষকের ছাগল জবাই করে ভূরিভোজ করাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আরিফ-লালু বাহিনীর সাথে প্রতিপক্ষ সাহাবুল বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাঁধে।

এ সময় উভয় পক্ষের ৩০-৩৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে গুলি, বোমা ও ইটের আঘাতে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১৫জন আহত হয়। এদের মধ্যে ইসমাইল (৫৫), মিজান (২৬), নাজির (৪২), আনারুল (২৪), রুবেল (২৫), শওকত (২৫), কিনার (৪৫), লালু (৩৫), ডাবু (৩২) ও পটল (৩৫) কে স্থানীয় চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

বাকী আহতরা অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গা ঢাকা দেয়।

বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে উভয়পক্ষ অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি ও ৫টি বোমার বিষ্ফোরন ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তবে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এনামুল হক জানান, জামালপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে।

(কেকে/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪)