মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে অবাধে আসছে ভারতীয় গরু। কোন করিডোর না থাকলেও প্রতিদিনই শত শত গরু প্রবেশ করছে সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলোতে। চোরাই পথে ভরতীয় গরু প্রবেশ করায় এবারো লোকসানের আশংকা করছে দেশীয় গরু পালনকারীরা।

মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর ও নাজিরাকোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু প্রবেশ করছে দেদারছে। সিমাšত পথ দিয়ে আসা ভারতীয় গরু বিক্রি হয় সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলোতে। আর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে গরু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। চোরাই পথে আসা কিছু গরু বিজিবির সহায়তায় কাস্টমস হলেও অধিকাংশ গরু করিডোর ভুক্ত না হয়ে চলে যায় দেশের অভ্যন্তরে। ভারতীয় গরু বিনা করিডোরে প্রবেশ করায় লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। গত বছর ভারতীয় গরু বাজার দখল করায় দেশীয় গরু পালনকারীরা পড়েছিল ব্যাপক ক্ষতির মুখে।

সীমান্ত এলাকার কয়েকজন জানান, সোনাপুর ও নাজিরাকোণা সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে চোরাকারবারীরা গরু নিয়ে আসে বিশেষ ব্যবস্থায়। সীমান্তে কাটাতারের বেড়ার মধ্যে বাশেঁর তৈরি বিশেষ ধরনের খাঁচা/মই ব্যবহার করে গরু পার করা হয়। প্রতিরাতেই শত শত গরু পার হয়ে আসে গ্রাম গুলোতে। আর সকাল হলেই বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা এখান থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

একজন জন প্রতিনিধি জানান, সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলোতে বসবাসকারী অধিকাংশ দরিদ্র সিমার নিচে। অন্য কোন কাজ না থাকায় ভারত থেকে গরু পার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাছাড়া এই সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও প্রায় ঘটে।


চোরাইপথে আসা গরুর সংখ্যা নির্ধারণ কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত ফরহাদ জানান, এখান থেকে আয়ের টাকা চোকিদার থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ততরা টাকার ভাগ নেয়।

গরু পালনকারী দুলাল জানান, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এক বছর ধরে গরু পালন করি ঈদে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য অথচ ঈদের আগেই দেশের বিভিন্ন সিমাšত দিয়ে এলসি ও চোরাইপথে ভারতীয় গরু প্রবেশ করায় বার বার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

(এনবি/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪)