হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের সাতছড়ির গহীন অরণ্য থেকে আবারো বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট থেকে অভিযান চালিয়ে ৯টি এসএমজি, ১টি এমএমজি, ১টি বেটাগান, ১টি ৭.৬২ মি.মি. অটো রাইফেল, ৬টি এসএলআর, ২টি এলএমজি, ১টি টেলিস্কোপ সাইড ও ২ হাজার ৪শ’ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। মাটির নিচে একটি কন্টেইনারে এই অস্ত্রগুলো রাখা ছিল।

এ কারণে অস্ত্রগুলো চকচকে অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পে র‌্যাবের মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে মুফতি মাহমুদ খান জানান, ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত অভিযানে যে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল এসব অস্ত্র সেগুলোরই অংশ। মঙ্গলবার ভোরে গহীন অরণ্যের ভিতরে মাটির নিচে একটি কন্টেইনারে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর ব্যাপারে অস্ত্র আইনে মামলা হবে। পরবর্তীতে আমরা অস্ত্রগুলোর উৎস, ব্যবহারকারী ও অন্যান্য তথ্য জানতে সক্ষম হবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এসব উদ্ধারের সাথে সম্পৃক্ত কাউকে র‌্যাব এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। পূর্বে দায়ের করা দু’টি মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। মামলার প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।


ব্রিফিংকালে মিডিয়া উইং এর ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর রুম্মান মাহমুদ ও র‌্যাব-৯ এর সিইও স্কোয়াড্রন লিডার মোছাব্বির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


১ জুন রাত থেকে সাতছড়িতে দুই শতাধিক র‌্যাব সদস্য, ডগ স্কোয়াড ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে অভিযান শুরু করে। একে একে আবিস্কার করে ১৫টি বাংকার। এসব বাংকার থেকে উদ্ধার করা হয় ২২২টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৪৮টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ৪টি ৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার মেশিনগান, ৫টি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটারের ১৩শ’ ৭৬ রাউন্ড বুলেট, ৭ দশমিক ৬ মিলিমিটারের ১২ হাজার ৩০০ রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ। এ ঘটনায় র‌্যাব চুনারুঘাট থানায় দু’টি মামলা দায়ের করে। ১৯ জুন রাতে র‌্যাব আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের অভিযান স্থগিত ঘোষণা করা হয়। তবে বলা হয় সেখানে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। ২৭ আগস্ট র‌্যাব সদস্যরা আবারও সাতছড়িতে গোপনে অভিযান শুরু করে। তবে অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের এর আশপাশেও যেতে দেয়া হয়নি।

চুনারুঘাট থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, র‌্যাব-৯ এর নিয়মিত টহলে এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। থানায় মামলা হলে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগের দুটি মামলারও তদন্ত চলছে।

(পিডিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪)