মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালকিনি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ.এম নজরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মো. মনির হোসেন ও সহকারী শিক্ষক আ. মান্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে পোস্টার টাঙ্গিয়ে প্রতিবাদ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক সূত্র জানায়, কালকিনি উপজেলার চর বিভাগদি মৌজায় এসএ-১৪২ নং দাগে ৪৬ শতাংশ জমি কালকিনি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে এসএ ও বিআরএস পর্চাসহ দলিল থাকা সত্বেও স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মনির হোসেন বিদ্যালয়ের ঐ জমিটি দখল করে নেয়।

খোজ নিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে ঐ জলাশয়ে মাছ চাষ করে বিদ্যালয়ের জন্য আয় করা হলেও সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ.এম নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আ. মান্নান হাওলাদারের সহযোগিতায় অপর সহকারী শিক্ষক মো. মনির হোসেন বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে নেয়। এনিয়ে স্থানীয় ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সসদ্যরা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। এমন কি উপজেলা বিভিন্ন স্থানে এর প্রতিবাদে পোস্টার টাঙ্গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ. রহিম মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের কোটি টাকার জমিদখলসহ স্কুলের দোকান নির্মাণের নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, সংখ্যালঘু শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন, পিকনিকের টাকা আত্মসাৎ করাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে মনির মাস্টারের বিরুদ্ধে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, মন্নান মাস্টার অবৈধভাবে স্কুলের একটি ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। সেই ঘর মেরামতের নামে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ প্রধান শিক্ষক তাদের কর্মকান্ডের সহযোগি হওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।’

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির আরেক সদস্য জামাল সরদার ও সাবেক সদস্য ফারুক বেপারী আক্ষেপ করে বলেন, স্কুলের পুকুরে ইউএনও স্যার মাছ ছেড়ে ছিলেন। কিন্তু সেই পুকুরও মনির মাস্টার দখল করে নেয়।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক শিক্ষক বলেন, অডিট আসলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। কিন্তু উপর মহলে আর্থিক সুবিদা দিয়ে সব ম্যানেজ করা হয়েছে। তাই বিষয়টি ধামাচাঁপা পড়েছে।’

এ ব্যপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এইচএম নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন ও মান্নান হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

(এএসএ/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪)