কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিষাক্ত এ্যামোনিয়া মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে মুড়ি। আবার মুড়িকে সাদা এবং ফোলানোর জন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে নানা রকম বিষাক্ত কেমিকেল। ফলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এমনই একটি মুড়ি কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই মুড়ি কারখানার মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করেন।

ভেড়ামারা শহরের রথপাড়া এলাকার অভ্যন্তরে চারিদিকে ঘেরা বদ্ধ পরিবেশে ‘মামা ভাগ্নে মুড়ি’র কারখানা। এই কারখানার মালিক হাজী আসাদুল হক। প্রাচীর বেষ্ঠিত নির্জন এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুড়িতে বিষাক্ত এমোনিয়াসহ বিষাক্ত সব কেমিকেল মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমা’র নেতৃত্বে অভিযান চালায় ওই মুড়ি কারখানায়। অভিযানেই বেরিয়ে আসে বিষাক্ত এ্যামোনিয়া দিয়ে মুড়ি তৈরির সব কিছু। তিনি জানান, নির্জন স্থানে মামা ভাগ্নে মুড়ি কারখানার মালিক মুড়িতে বিষাক্ত এ্যমোনিয়া মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছিল। মুড়িকে সাদা এবং ফোলানোর জন্য বিষাক্ত সব কেমিকেলই তিনি ব্যবহার করছিলেন। এই মুড়ি বিষাক্ত ও জনস্বাস্থ্য’র জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরুপ।

ম্যানেজার ইসরাইল হোসেন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে তাদের অপরাধ স্বীকার করলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়াও দিনভর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের ১০ টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় ২ ব্যক্তিকে ২ বছর ১ মাস কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

(কেকে/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪)