দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গত ২৫শে মে ২০০ মিটার অংশ এক সাথে ভেঙ্গে পড়ে। ভাঙন আতঙ্কে দুটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ জানায় প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে। তখন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে জান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সুলতান মাহামুদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। 

পদ্মা নদীর ভাঙণ রোধে পদ্মার বাম তীরে জেগে উঠা চর ড্রেজিং করে পদ্মা নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তনে কাজ শুরু হয়েছে ১৯ শে জুন শনিবার থেকে। শুক্রবার পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন ভাঙ্গন এলাকা ও প্রতিরোধে চলমান জিওব্যাগ ডাম্পিং পরিস্থিতি পরিদর্শন করে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানান, জরুরী ভাবে ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বার হাজারেও বেশি জিওব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলছে। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে। শুস্ক মৌসমে স্থায়ী ভাবে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরী নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিয়াম-সাইম এন্টারপ্রাইজের কর্মরত স্টাফরা জানান গত দুই দিন প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমরা ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করছি। বর্তমান পরিস্থিতি ও নদী ভাঙ্গন বিষয়ে ডিক্রির চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ভাঙ্গন প্রতিরোধে চলমান যে কাজ করছে তাতে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা কমেছে মানুষ আতঙ্ক থেকে রেহায় পেয়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অবহেলিত জনপদের নাম নর্থ চ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়ন। দুটি ইউনিয়নই পদ্মা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় পদ্মা নদীতে একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় নদী ভাঙ্গন। গত এক দশকে ইউনিয়ন দুটির মানচিত্র থেকে অনেক গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি, বসত বাড়ি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নর্থ চ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত শহর রক্ষাবাঁধ ও গোলডাঙ্গী ব্রিজ থেকে ৫০ মিটার দূরে অবস্থান করছে।

(ডিসি/এসপি/জুন ১৯, ২০২১)