এমদাদুল হক স্বপন, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চললেও শেষ মূহুর্তে উত্তেজনা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকরা। এতে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিলসহ ৫জন আহত হয়। ২১ জুন সোমবার ঝালকাঠি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২২টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাসন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেবিআই ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বি  প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল থেকেই ইভিএম পদ্ধতিতে সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণ চলছিলো। বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনে উটপাখি মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম কেন্দ্রের সামনে গিয়ে ধীরগতিতে ভোটার নেয়ার কারন জানতে চায়। এতে প্রতিপক্ষ কাইন্সিলর প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা, ভাঙচুর শুরু হয়।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টেবিল লাইট প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিলসহ ৫জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত হাবিবুর রহমান হাবিলকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে পৌর এলাকার ৬নং বাসন্ডা ওয়ার্ডের জেবিআই ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেয় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর লোকজন। বাসন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভিতরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল হক জানান, উদ্বোধন মাধ্যমকি বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একটি পক্ষ দলবল নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। এতে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃদু লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

(এস/এসপি/জুন ২১, ২০২১)