মাদারীপুর প্রতিনিধি : মঙ্গলবার ভোর থেকে মাদারীপুরে শুরু হয়েছে সাতদিনের কঠোর লকডাউন। লকডাউনে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় ইজিবাইক, রিক্সার চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। সকাল থেকেই জেলার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া প্রায় সকল ধরণের দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও ছিল কম। জেলায় প্রথম দিনের লক ডাউন কিছুটা ঢিলে-ঢালাভাবে পালিত হয়েছে। জেলায় করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়া ও পাশর্^বর্তী গোপালগঞ্জ জেলায় ভারতের ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা করোনা) পাওয়ার কারণে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। 

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলার সাথেই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও মকসুদপুর উপজেলা সীমান্ত এলাকা। কোটালীপাড়া ও মকসুদপুর উপজেলার সাথে মাদারীপুরের এই তিন উপজেলার মানুষের অবাধ যাতায়াত। কোটালীপাড়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা করোনা) পাওয়া গেছে। এটি সীমান্তবর্তী এলাকা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সবচেয়ে বেশি কাছে। এতে মাদারীপুর রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় এর হার ৩৭.৫ শতাংশ। ফলে জেলায় করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এজন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। জেলার সাধারণ মানুষদের বলবো, আপনারা খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। যদি ঘর থেকে বের হতে হয় তা হলে অবশ্যই মাক্স পরে বাহিরে বের হবেন এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলাচল করবেন।

(এ/এসপি/জুন ২২, ২০২১)