স্টাফ রিপোর্টার  গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাংলাদেশ সরকার যে নতুন গণমাধ্যমনীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, অনতিবিলম্বে তা বাতিল করা উচিত বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। নিজস্ব ওয়েবসাইটে বুধবার এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে মানবাধিকার বিষয়ক এই সংস্থাটি।

‘বাংলাদেশ : রিভোক ড্রাকোনিয়ান মিডিয়া পলিসি’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দাতা সংস্থাগুলোর উচিত বাংলাদেশকে পরিষ্কার করে বলা যে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে প্রচারস্বাধীনতা খর্ব করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’

গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই গণমাধ্যম নীতি প্রকাশ করে।

এই নীতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সীমিত করবে উল্লেখ করে এইচআরডাব্লিউ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রবিরোধী, জাতীয় আদর্শ নিয়ে কোনোরূপ ঠাট্টা-বিদ্রুপ কিংবা বাংলাদেশী সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান- এমন বিষয় নিয়ে প্রচারণা নিষিদ্ধ হবে এই নতুন আইনে। এ ছাড়া অরাজকতা, সহিংসতা কিংবা বিক্ষোভ সংক্রান্ত খবর প্রচারেও স্বাধীনতা কমে আসবে।’

এ ব্যাপারে এইচআরডাব্লিউ এর এশীয় পরিচলাক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, ‘(বাংলাদেশ) সরকারের কাছে বাকস্বাধীনতার কদর যে কত কম, এটা তারই উদাহরণ।’

তিনি আরও বলেন, এই নীতির মাধ্যমে বিরোধীদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেবে সরকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যে ডালের ওপর বসে আছেন, সেই ডাল কাটার চেষ্টা করবেন না। তাহলে নিজেও পড়ে যাবেন। আমার মনে হয়, বুদ্ধিমানের জন্য এই ইঙ্গিতই যথেষ্ট।’

বাংলাদেশ সরকারের এমন নীতির দীর্ঘ সমালোচনা শেষে ব্রাড অ্যাডামসকে উদ্ধৃত করে এইচআরডাব্লিউ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মনে হচ্ছে সরকার সেই সেকেলে যুগেই বাস করছে। জনগণ কী চিন্তা করবে, কী দেখবে আর কী পড়বে- এটা নির্ধারণ করাটা সেকেলেই। সরকারের উপলব্ধি করা উচিত, যুগটা কিন্তু ডিজিটাল। ওইসব দিন আর নেই।’

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)