কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের বাসায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে হামলা চালিয়েছে সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

তাকে প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করাতে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রক্টরের কুষ্টিয়া থানা পাড়ার বাসায় এঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা প্রক্টর পদ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে হুমকি ধামকি দেয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তার বাসায় ঢুকতে বাঁধা দিলে প্রকাশ্যে তাকে হত্যার হুমকি দেয়।

প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক ড. মাহবুবর রহমানের বাসায় এসে পরিচয় ছাড়াই বাসার ভিতরে ঢুকতে চায়।

কিন্তু প্রক্টর বাসার গেট খুলতে রাজি না হওয়ায় সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের লোক বলে পরিচয় দেয়। এতেও বাসার গেট না খোলায় মোবাইল নম্বর দিয়ে বাসার নিচে দাড়িয়ে থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।


এক পর্যায়ে ড. মাহবুুবুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদ থেকে অচিরেই পদত্যাগ করে কুষ্টিয়া ছেড়ে চলে যেতে বলে। পদত্যাগ না করলে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় তারা।

এ ব্যাপারে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান জানান ‘প্রো-ভিসি ড. শাহিনুর রহমানের ইন্ধনে আমার বাসায় ওই সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।

কারণ গত ২৪ আগস্ট পুলিশ ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের উপর পুলিশ গুলি চালায়। ওই দিন প্রো-ভিসি সমর্থিত কিছু শিক্ষক কর্মকর্তা প্রক্টরের নির্দেশে এ গুলি চালানো হয়েছে বলে অপপ্রচার করতে থাকে। ওই দিনের জরুরি সিন্ডিকেটে কেউ প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি না করলেও প্রো-ভিসি আমার পদত্যাগ দাবি করে। এছাড়াও বুধবার প্রো-ভিসি সমর্থিত ছাত্রলীগের দুই নেতার নামে জিডি করায় তিনি আমার বাসায় সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান ‘মধ্যরাতে ইবির প্রক্টরের বাসায় একদল দুর্বৃত্ত গিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এসময় তারা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলেও আমাদের কাছে অভিযোগ আছে।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়া সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজের জড়িত থাকার ব্যাপারে জানতে পেরেছি। প্রক্টরের বাসায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কার ইন্ধনে এটি হয়েছে তা খতিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’

কুষ্টিয়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সবুজের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ‘আমি প্রক্টর স্যারকে ফোন দেইনি। বরং তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি দেখতে বলেন।’

প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন ‘আমি বুঝতে পারছিনা তিনি কেন আমাকে দোষারোপ করছেন। এর সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। বরং আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

(কেকে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)