কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কুয়াকাটা সৈকতে ভেঙ্গে পড়া শতশত নারিকেল ও ঝাউ গাছ প্রকাশ্যে লুট হচ্ছে। সৈকত থেকে টমটমে করে এ গাছ বন বিভাগের চোখের সামনে থেকে নিয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এ সুযোগে প্রভাবশালী বনদস্যুরা শ্রমিক ভাড়া করে সৈকতে বসেই করাত দিয়ে গাছ কেটে নিচ্ছে। গত একসপ্তাহ ধরে চলছে সৈকতে ভেঙ্গে পড়া নারিকেল ও ঝাউ গাছ লুট। অনেকে আবার সৈকতে পড়ে থাকা গাছগুলো ট্রলার বোঝাই করে নিয়ে বিভিন্ন স-মিলে বিক্রি করে দিচ্ছে।

কুয়াকাটা সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বদিকে সৈকতের অন্তত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নারিকেল, ঝাউসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। গত দুই সপ্তাহ আগে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে সৈকত সংলগ্ন নারিকেল ও ঝাউ বাগান এবং কুয়াকাটা ইকোপার্কের শতশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু ভেঙ্গে পড়া গাছগুলো সৈকত থেকে অপসারন না করায় স্থানীয় বনদস্যুরা এ গাছগুলো ইচ্ছেমতো করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

কুয়াকাটা সৈকতে গাছ কাটায় নিয়োজিত একাধিক কাঠুরে জানায়, তারা দৈনিক ৩’শ টাতা মজুরিতে এ গাছ কাঠ কাটছেন। স্থানীয় এক প্রভাবশালী তাদের সৈকত থেকে গাছগুলো কাটতে বলেছেন। তবে তার নাম না জানালেও স্থানীয়রা জানায় সরকার দলীয় তিন/চার জন নেতা এ গাছ কাটার সাথে জড়িত। কুয়াকাটার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছর অন্তত কয়েক হাজার ঝাউ ও নারিকেল গাছ সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙ্গে যায়। এসব গাছ বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু গাছ চুরির অভিযোগে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

এ ব্যাপারে গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ জানান, সাগরের ভাঙ্গনে বিলীন হওয়া বনাঞ্চলের ভেঙ্গে যাওয়া অন্তত পাঁচশ গাছ কাটার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। তাদের নির্দেশ পাওয়ার পরই এ ভেঙ্গে পড়া গাছগুলো উদ্ধার করবেন। তবে গাছ চুরি করে নিয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত সপ্তাহে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান।

(এমকেআর/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)