হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি বলেছেন, গ্যাস একটি মূল্যবান খনিজ সম্পদ। বাংলাদেশে যখন গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়েছিল তখন গ্যাসের তেমন ব্যবহার ছিল না। দু’একটি সার কারখানায় শুধু গ্যাস দেয়া হত। ফলে ওই সময় গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য গ্যাস দেয়া হয়েছিল। আর রান্নার কাজে গাসের ব্যবহার হল গ্যাস নষ্টের শ্রেষ্ট উপায়। তাই বর্তমান সরকার এবং আমি নিজে গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগের বিপক্ষে।

রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয় এলপি গ্যাস। তবে যে সকল এলাকায় গ্যাস উত্তোলন হয় সে এলাকার আশেপাশের লোকজন গ্যাস পেতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মাত্র ৫ বছরে জাতীয় আয় বৃদ্ধি করেছে ৩ শতাংশ। অথচ এই সরকারের আগে ২৭ বছর লেগেছিল জাতীয় আয় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে। আগামী ৫ বছরে আরও ৪ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা সরকারের লক্ষ্য। আয় ও সরকারের অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এলজিইডি এখন দ্বিগুণ বরাদ্দ পায়। ফলে রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জ গ্যাস, চা বাগান ও শস্য উৎপাদনকারী এলাকা হিসাবে পরিচিত। একসময় এখানে নিয়মিত বন্যা হত। এখন কমেছে শুনে ভাল লেগেছে। তবে এখানকার পানীয় জল ও স্যানিটেশনের অবস্থা দুর্বল দেখে খারাপ লেগেছে। যেখানে জাতীয়ভাবে ৯৪ শতাংশ লোকের স্যানিটেশন নিশ্চিত হয়েছে এবং ৯৩ শতাংশ লোক ভাল পানি পায় সেখানে হবিগঞ্জে এই অবস্থা কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। হবিগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয়ে আমি কাজ করে যাব। মতবিনিময় সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি পুরণেরও আশ্বাস দেন তিনি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অলিপুর ও লস্করপুর রেল ক্রসিং-এ ওভারব্রীজ নির্মাণ, হবিগঞ্জ শহরে শহীদ মিনার নির্মাণ, সরকারি মহিলা কলেজে ভবন নির্মাণ। পাশাপাশি চলমান বিভিন্ন কাজের যে জটিলতা রয়েছে তাও নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এডভোকেট মাহবুব আলী, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জে কে গউছ, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ ও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জাহানার খাতুন প্রমুখ।

মন্ত্রী পরে হবিগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে জেলা যুবলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।

(পিডিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)