বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছেন দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ও কড়িতলায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করতে এসে তিনি এ দাবি করেন। ত্রাণমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কামালপুরে সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সমাবেশে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, এই সরকারের আমলে এখনো ত্রাণের অভাবে না খেয়ে কেউ মারা যায়নি। সারিয়াকান্দিতেও যেন কেউ খাবারের অভাবে মারা না যায়, এ জন্য ত্রাণ তত্পরতা সমন্বয় করতে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। আগামী দিনে দুর্যোগ মোকাবিলায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হবে। কৃষি পুনর্বাসনে জোর দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে।

পরে স্থানীয় কড়িতলা বাজারে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে অংশ নেন মন্ত্রী ।

উল্লেখ্য, সারিয়াকান্দিতে বর্তমানে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। গত মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদারের নেতৃত্বে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে ক্ষুধার্ত বানভাসি মানুষ ত্রাণবাহী নৌকা লুট করে। এদিন ত্রাণ নিতে গিয়ে পানির স্রোতে ভেসে যায় ১০ বছরের শিশু মলি খাতুন।

জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলার ২৮ ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)